Title Title

বয়কট কোম্পানি

দ্যা কোকা-কোলা

ইসরায়েল

বয়কট ব্র্যান্ড

কোকা-কোলা

ইসরায়েল

কোকা-কোলা ব্র্যান্ডটি কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডের অধীনে পরিচালিত একটি পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। কোকা-কোলা ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডটি কোকা-কোলা আইসেক কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে, যা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বিপণন কৌশলের মাধ্যমে ব্যবসা করে। কোকা-কোলা পানীয় পান করলে শরীরের উপর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে নিয়মিত সেবন করলে। এতে উচ্চমাত্রার চিনি থাকায় এটি ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি শরীরের ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

কোকা-কোলায় থাকা ক্যাফেইন শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা ঘুমের সমস্যার পাশাপাশি উদ্বেগ এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে হৃদস্পন্দন দ্রুত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড এবং কার্বন ডাই অক্সাইড মেশানো থাকে, যা পানীয়কে ঝাঁঝালো স্বাদ দেয়। তবে এগুলো পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং পাচনতন্ত্রে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। ফসফরিক অ্যাসিড হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কোকা-কোলার অ্যাসিডিক উপাদান দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। এটি দাঁতের পৃষ্ঠ থেকে খনিজ পদার্থ বের করে দেয়, যার ফলে দাঁতে ক্ষয় সৃষ্টি হয় এবং ক্যাভিটি বা গর্তের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত এই পানীয় সেবন করলে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের যন্ত্রণাও হতে পারে। কোকা-কোলায় কৃত্রিম রঙ এবং সংরক্ষণ উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জি প্রতিক্রিয়া বা দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান শরীরের লিভার এবং কিডনির কার্যক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং ভারতের মুসলিমবিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদে ‘পণ্য বয়কট আন্দোলন’ গতি পায়। বাংলাদেশের আলেম সমাজ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। মসজিদ ও ধর্মীয় সমাবেশে পণ্য বয়কটের বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষত, খাদ্য ও প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে জনগণের মধ্যে ইসরায়েলি পণ্য চিহ্নিত করার প্রচার চলছে। কোকা-কোলা ব্র্যান্ডের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে ৪৬০০০ জন মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায় সচেতনামূলক কর্মসূচি দিচ্ছে। বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ কোকাকোলা-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।



ব্র্যান্ডের পণ্যসমূহ

কোকা-কোলা কাঁচের বোতল

ইসরায়েল

কোকা-কোলা প্লাস্টিক বোতল

ইসরায়েল

কোকা-কোলা ক্যান

ইসরায়েল

কোকা-কোলা লাইট

ইসরায়েল

বিকল্প বাংলাদেশি ব্র্যান্ড

আফি জিরা পানি

Title