Title Title

বয়কট কোম্পানি

দ্যা কোকা-কোলা

ইসরায়েল

কোকা-কোলা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৮৬ সালে, আটলান্টায়, যখন জন স্টিথ পেম্বারটন একটি কার্বনেটেড পানীয় উদ্ভাবন করেন। ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য অ্যাসা ক্যান্ডলার ১৮৯২ সালে কোকা-কোলার মালিকানা গ্রহণ করেন এবং এটি একটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করেন। ১৯২০-এর দশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ শুরু হয়। কোকা-কোলা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র্যান্ডগুলোর একটি এবং ২০০টির বেশি দেশে উপস্থিত। কোম্পানি নন-অ্যালকোহলিক পানীয় শিল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যার পণ্য তালিকায় কোকা-কোলা, ফান্টা, স্প্রাইট, এবং বিভিন্ন পানীয় অন্তর্ভুক্ত। ভারতে কোকা-কোলা প্রথম আসে ১৯৫০-এর দশকে। কিন্তু ১৯৭৭ সালে, বিদেশি বিনিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের কঠোর নীতির কারণে কোকা-কোলা দেশ ছাড়ে। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক উদারীকরণের পরে, কোকা-কোলা ১৯৯৩ সালে পুনরায় ভারতে ফিরে আসে। কোম্পানি স্থানীয় ব্র্যান্ড থামস আপ, লিমকা ও গোল্ড স্পট অধিগ্রহণ করে এবং তাদের পণ্য তালিকায় যুক্ত করে।
বাংলাদেশে কোকা-কোলার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে, যখন তাবানি বেভারেজেস (টিবিসিএল) ঢাকায় এবং কে রাহমান চট্টগ্রামে কোকা-কোলা পণ্য বাজারজাত করা শুরু করেন। প্রথমদিকে, পণ্য সম্পর্কে ধারণার অভাব এবং অপর্যাপ্ত বিপণনের কারণে ব্যবসা কঠিন সময় পার করলেও পরবর্তীতে এর ব্যবসায় গতি আসে। ১৯৮২ সাল থেকে আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) কোকা-কোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি বোতলজাতকারী হিসেবে কাজ করছে। তাদের কুমিল্লায় একটি পূর্ণাঙ্গ বোতলজাতকরণ প্ল্যান্ট রয়েছে, যা দেশের প্রধান বাজারে কোকা-কোলার পণ্য বোতলজাতকরণ, প্যাকেজিং, বিক্রয় এবং বিতরণ করে। ২০১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) বাংলাদেশে কোকা-কোলার বোতলজাতকারী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তারা ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি বোতলজাতকরণ কারখানা স্থাপন করেছে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোকা-কোলার পণ্য উৎপাদন ও বিতরণে ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের কোকা-কোলা আইসেক (সিসিআই), কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডের (সিসিবিবি) শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে সিসিআই বাংলাদেশে কোকা-কোলার পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশে কোকা-কোলা ব্যবস্থাপনা মূলত ভারত থেকে পরিচালিত হয়, বাংলাদেশের কোকা-কোলা’র ব্যস্থাপনা পরিচালক তা জি তুং
কোকা-কোলা কোম্পানি ১৯৬৬ সাল থেকে ইসরায়েলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের ইসরায়েলি ফ্যাক্টরি ১৯৬৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত  দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা আরব লীগের বয়কটের কারণ হয়। এমনকি ২০২০ সালে, দখলকৃত ভূমিতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক 'কালো তালিকাভুক্ত' করা হয়েছিল। ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে কোকা-কোলা বিভিন্ন সময়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে তুরস্কের সংসদ কোকা-কোলা এবং নেসলের পণ্য নিষিদ্ধ করে।  বাংলাদেশেও কোকা-কোলার ইসরায়েলি সংযোগ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। ২০২৪ সালে কোকা-কোলার একটি বিজ্ঞাপন ইসরায়েলি সংযোগের ইঙ্গিত দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে এবং পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের দিকে বয়কট আন্দোলনে ভারত থেকে আমদানিকৃত ইউনিলিভারের সবপণ্য বাংলাদেশিরা বয়কট করেছে এবং ইসরায়েল নির্বিচারে ২০২৪ সালে গণহত্যা চালিয়েছে এতে ফিলিস্তিনে ৪৬০০০ মুসলিম নিহত হন এরমধ্যে ১৩০০০ শিশু রয়েছে, মুসিলম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের ওলামা-মাশায়েখগণ ইউনিলিভার-সহ ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট পণ্য বয়কটের জোড়ালো ডাক দিয়েছেন।


কোম্পানির ব্র্যান্ড সমূহ

কোকা-কোলা জিরো

ইসরায়েল

কোকা-কোলা

ইসরায়েল

কোক ডায়েট

ইসরায়েল

স্প্রাইট

ইসরায়েল

স্প্রাইট জিরো সুগার

ইসরায়েল

ফান্টা

ইসরায়েল

কিন্লে

ইসরায়েল

কিন্লে সোডা

ইসরায়েল

থামস আপ

ইসরায়েল

লিমকা

ইসরায়েল

মজা

ইসরায়েল

স্কুইপ্‌স

ইসরায়েল

চার্জড্

ইসরায়েল

মিনিট মেইড্

ইসরায়েল

স্মার্ট ওয়াটার

ইসরায়েল

রিমঝিম

ইসরায়েল

অনেস্ট টি

ইসরায়েল

কস্তা

ইসরায়েল

জর্জিয়া

ইসরায়েল

ভিটামিনওয়াটার

ইসরায়েল

Title